টাইট্রেশন কাকে বলে? টাইট্রেশন পদ্ধতি ব্যাখ্যা
এখানে নিচে টাইট্রেশন কাকে বলে বা টাইট্রেশন সংজ্ঞা, টাইট্রেশন এর সূত্র এবং টাইট্রেশন পদ্ধতি ব্যাখ্যা বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
টাইট্রেশন বা অনুমাপন (টাইট্রেমিতি বা আয়তনিক বিশ্লেষণ) হলো একটি পরিমাণগত রাসায়নিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি যাতে জ্ঞাত দ্রবণ বা প্রমিত দ্রবণের ঘনমাত্রা দ্বারা অজ্ঞাত দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয়।
টাইট্রেশন কাকে বলে
যে প্রক্রিয়ায় উপযুক্ত নির্দেশকের উপস্থিতিতে একটি প্রমাণ দ্রবণের নির্দিষ্ট আয়তন দ্বারা একটি অজ্ঞাতমাত্রার দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয় তাকে টাইট্রেশন বলে।
টাইট্রেশন পদ্ধতি ব্যাখ্যা
টাইট্রেশনে ব্যুরেট পিপেট কনিক্যাল ফ্লাস্ক হলো প্রধান কাচ সামগ্রী। এগুলো যথানিয়মে পরিষ্কার করে কাজ শুরু করতে হয়। ব্যুরেটে অজ্ঞাত (সাধারণত এসিড দ্রবণ) নিয়ে শূন্য দাগ লেবেল করে নিতে হয়। আর পিপেটের সাহায্যে নির্দিষ্ট আয়তনের (5.0 mL বা 10.0 mL) ক্ষার দ্রবণ (প্রমাণ দ্রবণ) কনিক্যাল ফ্লাস্কে নিয়ে তাতে উপযুক্ত নির্দেশক যোগ করে মিশ্রণের বর্ণ অবলোকন করতে হয়। এরপর ব্যুরেট থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে ফোঁটায় ফোঁটায় এসিড দ্রবণ কনিক্যাল ফ্লাস্কের মিশ্রণে যোগ করতে হয়।
যখন কনিক্যাল ফ্লাস্কের মিশ্রণে ড্রপ পড়লে মিশ্রণের বর্ণে পরিবর্তন দৃষ্টগোচর হয় তখন সাবধানে আস্তে আস্তে এসিড দ্রবণ যোগ করতে হয় যেন অতিরিক্ত এসিড যোগে বিক্রিয়ার সমাপ্তি বিন্দু অতিক্রান্ত না হয়। এক্ষেত্রে ব্যুরেট থেকে দ্রবণ যোগ করার কৌশল পূর্বেই বারবার অনুশীলন করে লেখে নিতে হবে। ব্যুরেট থেকে সঠিক পরিমাণ এসিড যোগ করার জন্য প্রক্রিয়াটি কমপক্ষে তিনবার করতে হবে। এক্ষেত্রে এসিড দ্রবণের আয়তন নির্ণয়ের জন্য একটি ছক এঁকে নিতে হবে।
ছকে প্রতিটি পরীক্ষণের জন্য প্রাথমিক পাঠ এবং চূড়ান্ত পাঠের ঘর থাকবে। চূড়ান্ত পাঠের মান থেকে প্রাথমিক পাঠের মান বিয়োগ করলে কনিক্যাল ফ্লাস্কে যুক্ত এসিডের আয়তন পাওয়া যাবে। প্রতিটি পরীক্ষণে ব্যবহৃত এসিডের আয়তনে সর্বাধিক 0.1mL ব্যবধান থাকতে পারে এর বেশি হলে টাইট্রেশনে নির্ণীত ঘনমাত্রার সঠিক মান পাওয়া যাবে না। 0.1 mL ব্যবধান হলো টাইট্রেশনে আয়তন পরিমাপের সূক্ষ্মতা কনিক্যাল ফ্লাস্কের দ্রবণে সঠিক পরিমাণ এসিড যোগ করার পর হঠাৎ মিশ্রণের বর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাবে। বর্ণ পরিবর্তন স্থায়ী হলে বুঝতে হবে বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।