Bangla

আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর PDF

HSC বাংলা প্রথম পত্রের সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে প্রকাশ করা হলো।

এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের একটি কবিতার নাম আঠারো বছর বয়স। আঠারো বছর বয়স কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত একটি কবিতা। আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেয়া হলো।

আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১: তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহারই যাহার শক্তি অপরিমেয়, গতিবেগ ঝঞ্ঝার ন্যায়, তেজ নির্মেঘ আষাঢ় মধ্যাহ্নের মার্তণ্ডপ্রায়; বিপুল যাহার আশা, ক্লান্তিহীন যাহার উৎসাহ, বিরাট যাহার ঔদার্য, অফুরন্ত যাহার প্রাণ, অটল যাহার সাধনা, মৃত্যু যাহার মুঠিতলে।

ক. আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে কী ভাঙতে চায়?
খ. আঠারো বছর বয়সকে কবি ‘দুঃসহ’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্যমূলক আলোচনা করো।
ঘ. “এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’-পাঠ্য কবিতায় এ সুর থাকলেও উদ্দীপকে তা প্রতিধ্বনিত হয়নি।”- যুক্তি দিয়ে বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২: পাড়ার সকলের প্রিয় পল্টু। অদ্ভুত তার চরিত্র। এখনই কারো গাছের ফল চুরি করে খেলো, তো পরক্ষণেই শীতার্তকে নিজের গায়ের জামা খুলে দিয়ে দিলো। কখনো গৃহস্থের গরুর গলার রশি খুলে দিয়ে মজা করছে, কখনো মহিলাদের আড্ডায় রাবারের সাপ ছেড়ে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, কখনো পথচারীর গায়ে সাইকেল তুলে দিয়ে খিলখিল করে হাসছে। সেই পন্টুই আবার প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা করা ডাকাত দলকে একাই রুখে দিতে লড়াই করছে। কারো বাচ্চাটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কারো অসুস্থ আত্মীয়কে হাসপাতালে নিতে হবে, কোনো কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার বিয়ের সব ব্যবস্থাপনা করে দিতে হবে, কারো অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান করতে হবে-এ সবে পল্টুই সর্বাগ্রে।

ক. সুকান্ত ভট্টাচার্য সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থটির নাম কী?
খ. “এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।”-লাইনটিতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. পল্টুর পরোপকারের বিষয়টি “আঠারো বছর বয়স” কবিতার কোন দিকটির ইঙ্গিতবাহী?-বুঝিয়ে দাও।
ঘ. “তবু আঠারোর শুনেছি জয় ধ্বনি”- পঙক্তিটির আলোকে উদ্দীপকটিকে মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩: মথুরাপুর গ্রামের তরুণ সমাজ একত্র হয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, বিনা-মূল্যে দুস্থদের চিকিৎসা, সেবা এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষকে মরতে হচ্ছে না চিকিৎসা ও রক্তের অভাবে, অন্যদিকে, এলাকার বেকার ও অলস জীবনযাপনকারী ছেলেমেয়েদের জীবন বদলে গেছে। সেবার মহান ব্রত নিয়ে গোটা সমাজটাকে পালটে ফেলার চেষ্টা করছে তারা। আর তরুণ প্রজন্মের এমন কার্যক্রমে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

ক. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ. ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।’- উক্তিটির অর্থ কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের তরুণদের কার্যক্রমের মাঝে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার আংশিক ভাব ধারণ করেছে।”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪: মালিহা আর নীলা সহপাঠী। দুজনেই লেখাপাড়ায় বেশ ভালো। স্কুলজীবন পার হতে না হতেই নীলা মিশে যায় কিছু বখাটে বন্ধুর সাথে। এখানে তার শিক্ষাজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। তার নাম শুনলে মেয়েরা আঁতকে ওঠে। অপরদিকে, মালিহা কলেজ পেরিয়ে মেডিকেল কলেজে পড়ে। বাংলাদেশের অবহেলিত নারীদের অধিকার আদায়ে সে এখন কাজ করে। আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়। সংগঠিত করে সহপাঠী মেয়ে বন্ধুদের, আর প্রতিজ্ঞা করে জীবন দিয়ে হলেও নারীদের যথাযথ অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেই।

ক. আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে কী ভাঙতে চায়?
খ. “এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।”-কবির এ প্রত্যাশা কেন? ২
গ. ‘এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’-উক্তিটি উদ্দীপকের নীলার ক্ষেত্রে কীভাবে প্রয়োজ্য? বুঝিয়ে দাও।
ঘ. “আত্মত্যাগ ও মানব-কল্যাণ আঠারো বছর বয়সের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য”-উদ্দীপক ও ‘আঠারো বছর’ কবিতার আলোকে তাৎপর্য মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫: মাদক গ্রহণের অপরাধ মাথায় নিয়ে পুলিশ ভ্যানে উঠে বসল সাজিদ। মা-বাবা, পাড়া-প্রতিবেশী কেউ কল্পনা করতে পারেনি এমন দৃশ্য তাদের দেখতে হবে। শুধু ভালো ছাত্র হিসেবে নয়, তার মতো সাহসী, প্রতিবাদী, পরোপকারী সর্বগুণের অধিকারী একটি ছেলেও খুঁজে পারে না কেউ বয়স্করা বলতেন, ‘আহা! এমন সোনার টুকরা যদি সবার ঘরে জন্মাত!’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাজিদের মা বলেন, ‘কিছুদিন ধরে অচেনা একটা ছেলে ওর সাথে দেখা করতে আসত। ভাবতে পারিনি এত বড় সর্বনাশ হবে আমার ছেলের।’

ক. ‘আকাল’ সুকান্ত ভট্টাচার্যের কী ধরনের রচনা?।
খ. ‘তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি’- সপ্রসঙ্গ পঙ্ক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’- উক্তিটি সাজিদের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রযোজ্য? বুঝিয়ে দাও।’
ঘ. ‘আহা! এমন সোনার টুকরা যদি সবার ঘরে জন্মাত!’- ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার শেষ পঙ্ক্তির আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে অগণিত বাঙালিকে হত্যা করে। দেশে এমন অরাজকতা দেখে তরুণ, যুবক রফিক আর চুপ থাকতে পারে না। অপরিসীম সাহস নিয়ে সে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশ ও দশের কল্যাণে সে নিজেকে উৎসর্গ করে।

ক. ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ. কবি কেন যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন?
গ. উদ্দীপকের রফিক ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আত্মত্যাগ ও মানব-কল্যাণ আঠারো বছর বয়সের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য’- উদ্দীপক ও ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭: রাশেদ ও তার বন্ধুরা মিলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছে। এমন সময় দুটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন ছেলে এসে একটি মেয়ের পথ রোধ করে, মেয়েটিকে আজেবাজে কথা বলে। রাশেদ ও তার বন্ধুরা সেখানে এগিয়ে যায়। তাদের দেখে ছেলেগুলো পালিয়ে যায়।

ক. আঠারো কীসের প্রতীক?
খ. তারুণ্যের আত্মত্যাগ কেমন হওয়া উচিত?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কোন বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের রাশেদ ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কবির প্রত্যাশিত বয়সের প্রতিরূপ”- মন্তব্যটি বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮: আমরা দুর্বল নিরীহ বাঙালি। এই বাঙালি শব্দে কেমন সুমধুর তরল- কোমল ভাব প্রকাশিত হয়। আহা! এই অমিয়াসিক্ত বাঙালি কোন বিধাতা গড়িয়াছিলেন? কুসুমের সৌকুমার্য্য, চন্দ্রের চন্দ্রিকা, মধুর মাধুরী, যূথিকার সৌরভ, সুপ্তির নীরবতা, ভূধরের অচলতা, নবনীর কোমলতা, সলিলের তরলতা এক কথায় বিশ্বজগতের সমুদয় সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতা লইয়া বাঙালি গঠিত হইয়াছে! আমাদের নামটি যেমন শ্রুতিমধুর তদ্রুপ আমাদের সমুদয় ক্রিয়াকলাপও সহজ-সরল।

ক. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় ‘আঠারো’ শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
খ. “এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়”- কথাটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের ‘দুর্বল নিরীহ বাঙালি’র সাথে কবিতার ‘বিরাট দুঃসাহসেরা’র মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের ভাববস্তু এবং কবিতার ভাববস্তু ভিন্নধারার হলেও একই উৎস হতে উৎসারিত।’ যথার্থতা বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯: ‘দীপু নাম্বার টু’ গল্পে দীপু তার খুদে গোয়েন্দা দল নিয়ে চোরাকারবারিদের ধরার জন্য ফন্দি আটে। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে চোরদের আক্রমণ করতে গিয়ে তারা যথারীতি বিপদে পড়ে। অবশেষে অনেক কৌশলে চোরাকারবারিদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। এভাবে দেশের মূল্যবান প্রত্ন-সম্পদ বিদেশে পাচার হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

ক. আঠারো বছর বয়স কী নয়?
খ. কবি আঠারো বছর বয়সকে ভয়ংকর বলেছেন কেন?-
গ. উদ্দীপকের খুদে গোয়েন্দা দলের বিপদগ্রস্ত অবস্থার চিত্র ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কীভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা নিরূপণ করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের দীপু ও তার খুদে গোয়েন্দা দল ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় বর্ণিত তারুণ্যের চেতনার প্রতীক’- বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০: মাদক গ্রহণের অপরাধ মাথায় নিয়ে পুলিশ ভ্যানে উঠে বসল সাজিদ। মা-বাবা, পাড়া-প্রতিবেশী কেউ কল্পনা করতে পারেনি এমন দৃশ্য তাদের দেখতে হবে। শুধু ভাল ছাত্র হিসেবে নয়, তার মতো সাহসী, প্রতিবাদী, পরোপকারী সর্বগুণের অধিকারী একটি ছেলেও খুঁজে পাবে না কেউ। বয়স্করা বলতেন, ‘আহা! এমন সোনার টুকরা ছেলে যদি সবার ঘরে জন্মাত!’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাজিদের মা বলেন, কিছুদিন ঘরে অচেনা একটা ছেলে ওর সাথে দেখা করতে আসত। ভাবতে পারিনি এত বড়ো সর্বনাশ হবে আমার ছেলের।

ক. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
খ. ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’- ব্যাখ্যা করো।
গ. ‘ এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা’- উক্তিটি সাজিদের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রযোজ্য? বুঝিয়ে দাও।
ঘ. ‘আহা! এমন সোনার টুকরা যদি সবার ঘরে জন্মাত!’- ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার শেষ পঙক্তির আলোকে উক্তিটির মূল্যায়ন করো।

এখানে এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের আঠারো বছর বয়স কবিতার মোট ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হলো। এখান থেকে চাইলে এর পিডিএফও ডাউনলোড করা যাবে।

বিঃদ্রঃ এখানে প্রদত্ত আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন গুলোর উত্তর পিডিএফ আকারে দেওয়া হলো। উপরের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে HSC বাংলা ১ম পত্র আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর PDF ডাউনলোড করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button