বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের ১০টি নিয়ম
বাংলা ব্যাকরণের প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম হতে বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের ১০টি নিয়ম বা আধুনিক বাংলা বানানের ১০টি নিয়ম এখানে দেওয়া হলো।
ভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে হলে সে ভাষার বানান জানা খুব জরুরী। একই শব্দের একাধিক বানান বিভ্রান্তিকর ও শ্রুতিকটু। প্রত্যেক ভাষারই বানানের নিয়ম আছে। বাংলা ভাষারও বানানের নিয়ম আছে। একে বাংলা বানানের নিয়ম বলে। এই নিয়ম সময় পরিবর্তনের সঙ্গে কিছুটা আধুনিক করা হয়। বাংলা বানানের নিয়ম তৈরী করেছে বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম ২০২৪ এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের ৫ টি নিয়ম
বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের ৫ টি নিয়ম উল্লেখ করা হলো।
১। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান যথাযথ ও অপরিবর্তিত থাকবে। তবে যে-সব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ সেইসব শব্দে কেবল ই বা উ এবং তার-কারচিহ্ন ব্যবহৃত হবে। যেমন- কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, ধমনি, ধূলি, পঞ্জি, পদবি ইত্যাদি।
২। রেফ-এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন- অর্চনা, অর্জন, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য ইত্যাদি।
৩। সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার লেখা যাবে। যেমনঃ অহম্ + কার = অহংকার; এভাবে- ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংগঠন। সন্ধিবদ্ধ না হলে ঙ স্থানে অনুস্বার হবে না। যেমনঃ অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা, আতঙ্ক, কঙ্কাল, গঙ্গা, বঙ্কিম, বঙ্গ, লঙ্ঘন, শঙ্কা, শৃঙ্খলা, সঙ্গে, সঙ্গী ইত্যাদি।
৪। সকল অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দেও কেবল ই এবং উ এবং এদের কার-চিহ্ন ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যেমনঃ গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি, গাড়ি, তরকার, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি আরবি ইত্যাদি।
৫। ক্ষীর, ক্ষুর ও ক্ষেত শব্দ খির, খুর ও খেত না লিখে সংস্কৃত মূল অনুসরণে ক্ষীর, ক্ষুর, ও ক্ষেত-ই লেখা হবে। তবে অ-তৎসম শব্দ খুদ, খুদে, খু, খেপা, খিধে ইত্যাদি লেখা হবে।
আরো দেখুনঃ
উপরে বাংলা ২য় পত্রের বাংলা একাডেমি বাংলা বানানের নিয়ম হতে বাংলা একাডেমি প্রমিত আধুনিক বাংলা বানানের ১০টি নিয়ম দেওয়া হলো।