ব্যতিচার কাকে বলে? আলোর ব্যতিচার এর শর্ত
এখানে নিচে আলোর ব্যতিচার কী, ব্যতিচার কাকে বলে এবং আলোর ব্যতিচার এর শর্ত সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
সাধারণভাবে দুটি আলাদা আলোক উৎসকে সুসঙ্গত উৎস হিসেবে গণ্য করা যায় না, কেননা যেকোনো একটি উৎসের পরমাণুকর্তৃক নিঃর্সৃত আলোক তরঙ্গ অন্য উৎসের ওপর কোনোভাবেই নির্ভর করে না। তাই দুটি ভিন্ন উৎস থেকে নির্গত দুটি আলাদা আলোক তরঙ্গ একটি নির্দিষ্ট দশা সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না।
আলোর ব্যতিচার সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সাধারণত একটি উৎস থেকে নির্গত আলোকে দুটি অংশে এমনভাবে বিভক্ত করা যায় যেন প্রতিটি বিভক্ত অংশকেই একটি স্বতন্ত্র উৎস হিসেবে গণ্য করা যায়। ফলে এ দুটি বিভক্ত অংশকে দুটি সুসঙ্গত উৎস হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আলোক তরঙ্গকে দুটি সরু পথে বা চিড় বা চিরের মধ্য দিয়ে যেতে দিয়ে একটি উৎস থেকে দুটি সুসঙ্গত উৎস তৈরী করা যায়।
ব্যতিচার কাকে বলে?
দুটি সুসঙ্গত উৎস থেকে নিঃসৃত দুটি আলোক তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে কোনো বিন্দুর আলোক তীব্রতা হ্রাস পায়। এর ফলে কোনো তলে পর্যায়ক্রমে আলোকজ্জ্বল ও অন্ধকার অবস্থার সৃষ্টি হয়। কোনো স্থানে বিন্দু থেকে বিন্দুতে আলোর তীব্রতার এ পর্যায়ক্রমিক তারতম্যকে আলোর ব্যতিরচার বলে।
আলোর ব্যতিচারের শর্ত
আলোর ব্যতিচারের শর্তগুলো হলো-
১। আলোর উৎস দুটি সুসঙ্গত হতে হবে।
২। যে দুটি তরঙ্গ ব্যতিচার ঘটাবে তাদের বিস্তার সমান বা প্রায় সমান হতে হবে।
৩। উৎসগুলো খুব কাছাকাছি অবস্থিত হতে হবে।
৪। উৎসগুলো খুব সূক্ষ্ম হতে হবে।