সেলুলোজ কাকে বলে? সেলুলোজ এর ধর্ম এবং কাজ
এখানে নিচে সেলুলোজ কী, সেলুলোজ কাকে বলে, সেলুলোজ এর ব্যবহার এবং সেলুলোজ এর ধর্ম ও কাজ সহ সেলুলোজের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ফরাসি রসায়নবিদ Anselme Payen ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে সেলুলোজ আবিষ্কার করেন। Kobayashi ও Shode ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম কৃত্রিম সেলুলোজ সংশ্লেষ করেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বিরাজ করে সেলুলোজ।
সেলুলোজ কী
সেলুলোজ উদ্ভিদের একটি প্রধান গাঠনিক পদার্থ। উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে গঠিত।উদ্ভিদের অবকাঠামো নির্মাণে সেলুলোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদদেহে যেহেতু কোনো কঙ্কাল নেই, সেহেতু উদ্ভিদের ভার বহনের দায়িত্ব পালন সেলুলোজ। তুলায় করে সেলুলোজের পরিমাণ ৯৪%, লিনেনে ৯০%, তন্তুকোষে ৯০% এবং কাঠে ৬০%। তৃণলতায় ৩০-৪০% আর জৈব বস্তু সমৃদ্ধ মাটিতে ৪০- ৭০% থাকে। সেলুলোজ ঘন H2SO, বা HCl বা NaOH দ্বারা হাইড্রোলাইসিস করে গুকোজে পরিণত করা যায়। মানুষের পরিপাক নালীর বিভিন্ন অংশে (মুখগহ্বর, পাকস্থলী ও অস্ত্র) সেলুলেজ এনজাইম না থাকায় সেলুলোজ পদার্থ হজম হয় না; তবে সেলুলোজ গরু-ছাগলে পুষ্টি হিসেবে কাজ করতে পারে। বস্ত্র ও আসবাবপত্র শিল্পের প্রধান উপাদান সেলুলোজ, তাই মানব সভ্যতায় এর দান অপরিসীম।
সেলুলোজ এর ধর্ম
সেলুলোজ এর ধর্মগুলো হলো-
(i) সেলুলোজ স্বাদহীন, গন্ধহীন, সাদা ও কঠিন জৈব-রাসায়নিক পদার্থ।
(ii) এটি পানিতে অদ্রবণীয়, অবিজারক পদার্থ, আণবিক ভর দুই লক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ।
(iii) এটি মিষ্টি নয় এবং বিজারণ ক্ষমতাহীন।
(iv) আয়োডিন দ্রবণ প্রয়োগে কোনো রং দেয় না।
(v) এটি ফাইবার সদৃশ ও শক্ত।
(vi) এটির কোনো পুষ্টিগুণ নেই।
সেলুলোজ এর কাজ
সেলুলোজ এর অনেকগুলো কাজ রয়েছে। উদ্ভিদের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। উদ্ভিদকে দৃঢ়তা ও সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভার বহন করে।