ইভটিজিং সম্পর্কে বাবা ও ছেলের মধ্যে সংলাপ রচনা
এখানে নিচে বাংলা ২য় পত্রের লিখিত অংশের ইভটিজিং সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা বা ইভটিজিং সম্পর্কে সংলাপ দেওয়া হলো।
বর্তমান সময়ে ইভটিজিং আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই এ সম্পর্কে সংলাপ রচনা এসে থাকে। তাই ইভটিজিং সম্পর্কে বাবা ও ছেলের মধ্যে সংলাপ বা কথোপকথন নিচে দেওয়া হলো।
ইভটিজিং সম্পর্কে সংলাপ
বাবা: রাসেল তোমার ক্লাস কটায়?
রাসেল: প্রথম ক্লাসটি সকাল ৯টায়।
বাবা: ঠিক আছে তাহলে তুমি আমার সাথেই যেতে পারবে। আমি তোমাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে যাব।
রাসেল: দরকার নেই বাবা, আমি কলেজ বাসে চলে যাব।
বাবা: রোজই তো যাও। আজ না হয় আমার সাথে গেলে।
রাসেল: ঠিক আছে চলো (দুজনে গাড়িতে উঠল)।
বাবা: আচ্ছা রাসেল, ক্লাসের পরে কি বাসায় ফিরে যাবে?
রাসেল: কিছুসময় বন্ধুরা মিলে পড়াশোনা নিয়ে কথা বলব, তারপরে বাসায় যাব।
বাবা: রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দাও না তো?রাসেল: কেন বাবা, হঠাৎ এ প্রশ্ন করছ?
বাবা: না, আজ কাল ইভটিজিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে তো, তাই জিজ্ঞেস করলাম?
রাসেল: ইভটিজিং—এটা কী বাবা?
বাবা: নানা কটূক্তি করার মাধ্যমে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার কাজটিকে ইভটিজিং বলে। রাস্তা-ঘাটে তোমাদের বয়সি তরুণরা এটা করে থাকে।
রাসেল: বাবা আমরা বন্ধুরা মাঠে বসে গল্প করি।
বাবা: তোমার জেনে রাখা ভালো – মানবাধিকার কমিশনের মতে ইভটিজিং ফৌজদারি অপরাধ।
রাসেল: তাই নাকি বাবা?
বাবা: হ্যাঁ তাই। আশা করি তুমি ও তোমার বন্ধুরা এ কাজ থেকে দূরে থাকবে। এবং তোমার বন্ধুদেরও সচেতন করবে।
রাসেল: অবশ্যই বাবা।