Bangla

ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা

এখানে নিচে বাংলা ২য় পত্রের লিখিত অংশের ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা দেওয়া হলো।

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। এর যেমন অনেক সুফল রয়েছে তেমনি কিছু কুফলও রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল-কুফল বিষয়ে কথোপকথন বা সংলাপ আসে। তাই ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ নিচে দেওয়া হলো।

ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল নিয়ে সংলাপ

সাহেদঃ কীরে নাসের, কেমন আছিস?

নাসেরঃ ভালো। তোর কী অবস্থা?

সাহেদঃ এইতো চলছে। পড়াশোনার কী খবর?

নাসেরঃ আমার পড়াশোনা! সারাদিন তো ফেসবুকেই চলে যায়। তুই তো ভালোই পড়িস।

সাহেদঃ আরে না। আমারও একই অবস্থা। সামান্য কিছুক্ষণ পড়ি। আর বাকি সময় ইন্টারনেট ব্যবহারেই চলে যায়।

নাসেরঃ বন্ধু এভাবে আসলে পড়াশোনা হয় না। প্রচুর সময় নষ্ট হয়। তাছাড়া দিনকে দিন আরো যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছি। ভার্চুয়াল জগতে থেকেও সবার সাথে মানসিক ব্যবধান বাড়ছে। কেমন যেনো যন্ত্রমানব হয়ে যাচ্ছি।

সাহেদঃ তুই সব সময় এত সমালোচনামুখর কেন? বলতে পারিস। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তো এখন পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আমরা সবাই এখন গ্লোবাল ভিলেজর বাসিন্দা। পৃথিবীর সবচেয়ে দূরবর্তী প্রান্তে অবস্থিত মানুষের সাথে আমরা মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করছি। ফলে আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আদান-প্রদানও হচ্ছে।

নাসেরঃ ইন্টারনেট এর কারণে যে আজ মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে। কিশোরদের মনস্তত্ত্বে অশুভ ও নোংরা প্রতীতি নোঙর ফেলছে এটাকে তুই কিভাবে করবি? এর উপর ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের গোপনীয়তাও হ্রাস পাচ্ছে এর প্রভাবে।

সাহেদঃ বর্তমানে লক্ষ লক্ষ বেকার ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু তোকে বুঝিয়ে লাভ নেই। তোকে বোঝানো আর উলুবনে মুক্ত ছড়ানো সমান।

নাসেরঃ ধন্যবাদ বন্ধু। বাজারে যাব। আরেকদিন কথা বলি।

সাহেদঃ যা। ভালো থাকিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button