কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা
এখানে নিচে বাংলা ২য় পত্রের লিখিত অংশের কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ বা কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে সংলাপ দেওয়া হলো।
বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই এ বিষয়ে সংলাপ রচনা আসে। তাই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ বা কথোপকথন নিচে দেওয়া হলো।
কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে সংলাপ
আবু সাইদঃ মুগ্ধ, আজকাল তোমার অনেক ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে। কী নিয়ে এত ব্যস্ত তুমি?
মীর মুগ্ধঃ হ্যাঁ সাইদ, সত্যিই একটু ব্যস্ত। কারিগরি শিক্ষার ওপর একটা প্রজেক্ট তৈরি করছি। তুমি কি জানো, আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
আবু সাইদঃ হ্যাঁ, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে তো অনেক কথা শুনেছি। কিন্তু এটি আসলে কীভাবে কাজে লাগে?
মীর মুগ্ধঃ দেখো সাইদ, কারিগরি শিক্ষা হলো এমন এক ধরনের শিক্ষা যা মানুষকে হাতেকলমে কাজ করা শেখায়। এর মাধ্যমে কেউ সহজেই দক্ষ শ্রমিক হতে পারে। যেমন, ইলেকট্রিক্যাল, প্লাম্বিং, মেকানিক্যাল কাজ শিখে অনেকেই নিজেকে স্বাবলম্বী করছে।
আবু সাইদঃ বুঝলাম। কিন্তু আমাদের দেশে তো সাধারণ শিক্ষার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়। তাহলে কারিগরি শিক্ষার আলাদা গুরুত্ব কোথায়?
মীর মুগ্ধঃ এটাই তো মূল সমস্যা। আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ, অনেকেরই চাকরি পাওয়ার মতো যথেষ্ট দক্ষতা নেই। কারিগরি শিক্ষাই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আবু সাইদঃ তুমি কি তাহলে মনে করছো, সাধারণ শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই?
মীর মুগ্ধঃ না না, মোটেও তা নয়। সাধারণ শিক্ষা হলো মৌলিক ভিত্তি। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা সেই ভিত্তিকে বাস্তব জীবনের জন্য ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আবু সাইদঃ তুমি ঠিক বলেছো। কারিগরি শিক্ষায় একজন মানুষ কাজের মাধ্যমে তার যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে পারে।
মীর মুগ্ধঃ ঠিক তাই। আর জানো, বর্তমান সরকারও এখন কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করছে।
আবু সাইদঃ এটা তো তাহলে দারুণ ব্যাপার! আমাদেরও উচিত এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা।
মীর মুগ্ধঃ একদম। শুধু পড়াশোনাই নয়, দক্ষতা অর্জন করাও সমান জরুরি।
আবু সাইদঃ তোমার কথা শুনে আমিও এখন কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারছি। তোমার প্রজেক্টের জন্য শুভকামনা রইলো।
মীর মুগ্ধঃ ধন্যবাদ সাইদ। আসলে আমরা সবাই মিলে সচেতন হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
আবু সাইদঃ অবশ্যই। আমাদের সবারই দেশের জন্য কাজ করা উচিত।