মাদকাসক্তির কুফল ও প্রতিকার নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা
এখানে নিচে বাংলা ২য় পত্রের লিখিত অংশের মাদকাসক্তির কুফল বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা দেওয়া হলো।
মাদকাসক্তি বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই এ সম্পর্কে সংলাপ রচনা এসে থাকে। তাই মাদকাসক্তির কুফল ও প্রতিকার নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ বা কথোপকথন নিচে দেওয়া হলো।
মাদকাসক্তির কুফল নিয়ে সংলাপ
রায়হান: বন্ধু কেমন আছ তুমি?
আনিসুর: ভালো, তুমি নিশ্চয়ই ভালো আছ। একটি দুঃখজনক সংবাদ আছে। দীর্ঘদিন ধরে সাকিব কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। আজই শুনলাম ওর বাবার কাছ থেকে- সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। সে এখন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছে।
রায়হান: বলো কী!
আনিসুর: বখাটে বন্ধুদের খপ্পরে পড়েছিল।
রায়হান: ও এখন কেমন আছে? জানো তো, মরণনেশা মাদকাসক্তি—মৃত্যুই যার পরিণতি। সাকিব বাঁচবে তো?
আনিসুর: প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়েছে বলে হয়তো কিছুটা রেহাই পাবে। তবে ভোগান্তি কম হবে না। মৃত্যু পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।
রায়হান: আমি জানি, আমাকে তুমি সংবাদটি কেন দিতে এসেছ। আমি এক-দুবার একটু নেশা করেছি ঠিকই কিন্তু এখন ওসব বাদ দিয়েছি।
আনিসুর: আসলে তা নয় বন্ধু, তোমাকে আমি খুবই ভালোবাসি। তোমাকে সচেতন হওয়ার জন্যেই সংবাদটা দেওয়া।
রায়হান: ঠিক আছে, তুমি বলো।
আনিসুর: রায়হান তুমি আমার কাছে লুকাবে না। মাদকের মতো একটা নিষ্প্রাণ তুচ্ছ বস্তু শুধু খেয়ালের ভুলে একটা সজীব প্রাণবন্ত অসীম সম্ভাবনাময় জীবনকে নিষ্প্রাণ করে দিতে পারে না, এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় দিতে পারে না।
রায়হান: আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বলে নানা টানাপোড়েনে অনেক সময় দুঃখ-কষ্টে মাথা ঠিক থাকে না।
আনিসুর: জীবনে দুঃখ আছে, গ্লানি আছে, পরাজয় আছে, ব্যর্থতা আছে, কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার মাঝেই জীবনের সার্থকতা নিহিত। জীবনকে যতভাবে সুখী, সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ করে তোলা যায় সে চেষ্টাই আজ পৃথিবীর মানুষের লক্ষ্য। জীবনকে ঋদ্ধ ও পরিপূর্ণ কর।
রায়হান: আজই তোমার কাছে প্রতিজ্ঞা করলাম। কোনো মাদকদ্রব্যই আমি আর ছুঁয়েও দেখব না।
আনিসুর: ধন্যবাদ বন্ধু। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি বন্ধু। তুমি ছাড়া আমার আর কোনো সুহৃদ বন্ধু নেই। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
রায়হান: বন্ধু তোমাকে কথা দিলাম। আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমাদের এই বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।