মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর PDF
HSC বাংলা প্রথম পত্রের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মাসি-পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে প্রকাশ করা হলো।
এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের একটি গল্পের নাম মাসি পিসি। মাসি-পিসি গল্পটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা একটি ছোট গল্প। মাসি-পিসি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেয়া হলো।
মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১: ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারে দিশেহারা, পর্যুদস্ত দেশ। মাঠ-ঘাট পেরিয়ে মিলিটারি-রাজাকারের চোখ এড়িয়ে ভারতের আশ্রয় শিবিরের উদ্দেশ্যে ছুটে চলার প্রাণান্তকর চেষ্টা বৃদ্ধা আদুরির। হঠাৎ খেতের মধ্যে গুলিবিদ্ধ মায়ের লাশের পাশে কান্নারত এক শিশুকে দেখে থমকে যায় আদুরি। নিঃস্ব কোলে তুলে নেয় অসহায় শিশুটিকে। আবারও ছুটতে থাকে আদুরি। শিশুটিকে যে বাঁচাতেই হবে-ভাবতে ভাবতে সুদৃঢ় হয় বৃদ্ধার পদক্ষেপ।
ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে উল্লিখিত বাবুর নাম কী?
খ. ‘মোরা নয় মরব।’ -পিসির এ উক্তি কীসের ইঙ্গিত বহনকারী? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিশুটির সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদির মিল কোন দিক থেকে? বুঝিয়ে দাও।
ঘ. ‘ভাবতে ভাবতে সুদৃঢ় হয় বৃদ্ধার পদক্ষেপ।’-এ উক্তিটি দ্বারা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির চারিত্রিক দৃঢ়তা ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২: দীপ শিখা গার্মেন্টসের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয় গার্মেন্টস কর্মী দম্পতি জলিল ও রাবেয়া। তাদের একমাত্র মেয়ে জোবাইদা অনাথ হয়ে আশ্রয় নেয় বৃদ্ধ নানা-নানির সংসারে। গরিব নানা-নানি তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে তাকে বিয়ে দেয় পাশের গ্রামের আকিবের সাথে। কিন্তু সুখের মুখ দেখা হলো না জোবাইদার। আকিব তাকে মারধর করে এবং সারা দিন কিছু না খেতে দিয়ে ঘরে আটকে রাখে। স্বামীর এই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আবার ফিরে আসে নানা-নানির কাছে। নানা-নানি এতে ভীষণ কষ্ট পায়, তবু পরম যত্নে আগলে রাখে অসহায় জোবাইদাকে।
ক. হাতে দুটো পয়সা এলে কার স্বভাব বদলে যায়?
খ. আহ্লাদির দিকে তাকিয়ে বৃদ্ধ রহমানের চোখে জল আসে কেন? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের আকিব চরিত্রটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের নানা-নানির অবস্থা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি ও পিসির মতোই হৃদয়বিদারক।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩: শৈশবে বাবা-মাকে হারিয়ে এক চাচার আশ্রয়ে থাকা আসমার জীবনে ঘটে যায় বাল্যবিবাহ, স্বামীর ঘরে অত্যাচার-নির্যাতন, পরে তালাক। চাচার সহযোগিতা না পেলেও দমে যায়নি সে। টিউশন করে লেখাপড়া চালিয়ে যায় সে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় লাভ করে ভালো ফল। আসমা এখন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী।
ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে চৌকিদারের নাম কী?
খ. আহ্লাদিকে দেখে বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে ওঠে কেন?
গ. উদ্দীপকের চাচা ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি চরিত্রের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করো।
ঘ. “উদ্দীপকের আসমা এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি উভয়েই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।”- আলোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪: ছুটি রাণী বিধবা ও নিঃসন্তান। এ বিধবার নিকট-সম্পর্কের কেউ নেই। একদিন বাড়ির আঙিনার মন্দিরের পাশে বিশোর্ধ্ব একটি মেয়েকে কাঁদতে দেখেন। সমস্ত ঘটনা শুনে মেয়েটিকে ঘরে নিয়ে আসেন। স্বামীর নির্দয়তায় ক্ষত-বিক্ষত মেয়েটিকে মায়ের স্নেহে আশ্রয় দেন। মেয়েটির শ্বশুরবাড়ির লোক সংবাদ পেয়ে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে চান। মেয়েটি কোনোভাবেই ফিরে যেতে রাজি নয়। ছুটি রাণীও মেয়েটিকে যেতে দেননি। এজন্য ছুটি রাণীকে সামাজিক নেতিবাচকতার মুখোমুখি হতে হয়। ছুটি রাণী মেয়েটিকে তার স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত ধন-সম্পত্তি উইল করে দেন।
ক. “খুনসুটি রাখো দিকি কৈলেশ তোমার।”- উক্তিটি কার?
খ. “অতি সন্তর্পণে তারা বিছানা ছেড়ে ওঠে।”- কাদের সম্পর্কে এবং কেন বলা হয়েছে
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মেয়েটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের ‘আহ্লাদি’র সঙ্গে কীভাবে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের ছুটি রাণী এবং ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি একে অপরের পরিপূরক।”- বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫: মীনার বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার মা, রানু তাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। সে তার স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য কৃষিজমিতে উৎপন্ন ফসল বিক্রি করে যা আয় করে তাতে মীনার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারে না। তাই অন্যের বাড়িতে ধান ভানা, মাড়াই দেওয়া ও গৃহপরিচারিকার কাজ করে মীনার লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাধ্য হয়ে দাঁড়াল মীনার বয়স। ষোড়শী মীনাকে গ্রাম্য মোড়লের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য সে তাকে বিয়ে দিলো। কিন্তু অর্থলোভী ও স্বার্থান্ধ পরিবারে মীনার ঠাঁই হলো না। সে মায়ের কাছে চলে আসল। শুরু হলো মা-মেয়ের নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই।
ক. ‘পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়’ কারা বসেছে?
খ. “ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়,”- এখানে ‘পাষাণ’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সমাজচিত্রের সঙ্গে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমাজচিত্রের সাদৃশ্য কতটুকু? আলোচনা করো।
ঘ. ‘বেঁচে থাকার লড়াই’ কথাটি উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬: দশম শ্রেণির ছাত্রী আসমা এক দরিদ্র পিতার সন্তান। গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি গওহর মণ্ডল জোরপূর্বক আসমাকে পুত্রবধূ বানাতে চায়। হুমকি দেয় তুলে নিয়ে যাওয়ার। এই পরিস্থিতিতে আসমার বান্ধবীরা পাশে এসে দাঁড়ায়।’ মণ্ডলের বখাটে ছেলের হাতে পড়ে মেধাবী ছাত্রী আসমার লেখাপড়া ধ্বংস হোক তারা চায় না। বান্ধবীরা বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক ও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানায়। তারা দল বেঁধে স্কুলে যায় এবং পালা করে আসমার বাড়ি পাহারা দেয়। এতে দমে যায় গওহর মণ্ডল। জয় হয় সম্মিলিত প্রতিরোধের।
ক. ‘সালতি’ কী?
খ. ‘বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে।”- কেন? বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের গওহর মন্ডল ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রের। প্রতিনিধিত্ব করে? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।
ঘ. “জয় হয় সম্মিলিত প্রতিরোধের’- এ কথা ‘মাসি-পিসি’ গল্পের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।” উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭: কারও লড়াই বাঁচার জন্য। কারও আবার বাঁচাটাই লড়াই করবার জন্য। এভাবেই জীবনের একটা বড়ো অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুর শহরের দিপালী দে এবং ফুলেশ্বরী মণ্ডল। পরিবারের অন্নসংস্থানের জন্য এই দুই নারী বেছে নিয়েছেন এমন পথ। সচরাচর মহিলাদের যে পথে হাঁটতে দেখা যায় না। সাইকেলে চড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবরের কাগজ বিক্রি করেন তারা। ভোর থেকে দুপুর। এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া। টানা ৩০ বছর।
ক. আহ্লাদির নিজেকে কেমন লাগে?
খ. ‘দুজনের হয়ে গেল এক মন প্রাণ’- কাদের সম্পর্কে এ কথাটি বলা হয়েছে এবং কেন?
গ. উদ্দীপকের দিপালী এবং ফুলেশ্বরী ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সাথে কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “কারো লড়াই বাঁচার জন্য কারও আবার বাঁচাটাই লড়াই করবার জন্য। উক্তিটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে যাচাই করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮: স্বামী ও পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে সুবলা রানীর সংসার। স্বামী দুলালের কোনো আয়-রোজগার নেই। এক সময় ভ্যান চালাত। ভ্যান বিক্রি করে বড়ো মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। সুবলা রানী মুড়ি-চিড়া ভেজে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কায়-ক্লেশে সংসার চালায়। স্বামী সারাক্ষণ নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে আর কারণে অকারণে সুবলার উপর নির্যাতন চালায়।
ক. সালতি কী?
খ. ‘কাঁথা কম্বলটা চুবিয়ে রাখি জলে’- কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকটি ‘মাসি-পিসি গল্পের কোন দিকটিকে ধারণ করেছে? আলোচনা কর।
ঘ. ‘সংগ্রামী নারীর জীবন চিত্র উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের উপজীব্য বিষয়’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯: রূপার বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার মা দীপা তাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। সে তার স্বামীর রেখে যাওয়া সামান্য কৃষিজমিতে উৎপন্ন ফসল বিক্রি করে যা আয় করে তাতে রূপার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারে না। তাই অন্যের বাড়িতে ধান ভানা, মাড়াই দেওয়া ও গৃহপরিচারিকার কাজ করে রূপার লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়াল রূপার বয়স। ষোড়শী রূপাকে গ্রাম্য মোড়লের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য দীপা তাকে বিয়ে দিল। কিন্তু অর্থলোভী ও স্বার্থান্ধ পরিবারে রূপার ঠাঁই হলো না। সে মায়ের কাছে চলে আসল। শুরু হলো মা-মেয়ের নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই।
ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
খ. ‘কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে মাসি-পিসি’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সমাজচিত্রের সাথে মাসি-পিসি গল্পের সমাজচিত্রের সাদৃশ্য কতটুকু? আলোচনা করো।
ঘ. ‘বেঁচে থাকার লড়াই’- কথাটি উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০: পলাশ সাহেব গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তার চাতুরী-ছলনা আর কূটকৌশল গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করে। কিন্তু এখন দিন বদলের হাওয়া বইছে। নিপীড়িত মানুষ ন্যায়-বিচারহীন অসহায়ত্বের অপমান, মুখ বুজে সইছে না। তারা সংঘবদ্ধভাবে অনেক কিছুর প্রতিবাদ করে এখন।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম কী?
খ. ‘ছল ছল চোখে একবার তাকায় আহ্লাদির দিকে’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের পলাশ সাহেব ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন চরিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে যে প্রতিবাদী চেতনার প্রকাশ পেয়েছে, তা উদ্দীপক ও ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
এখানে এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের মাসি-পিসি গল্পের মোট ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হলো। এখান থেকে চাইলে এর পিডিএফও ডাউনলোড করা যাবে।