পোলারায়ন কাকে বলে? পোলারায়নের বৈশিষ্ট্য
এখানে নিচে পোলারায়ন কী, পোলারায়ন কাকে বলে এবং পোলারায়নের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সমযোজী বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে কোনো পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে অধিক আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে ঐ পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলা হয়। অধাতুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি এবং ধাতুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম। ফ্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি, তারপর অক্সিজেন, ক্লোরিন, নাইট্রোজেন পরমাণুর স্থান। শেয়ারকৃত ইলেক্ট্রন মেঘের ঘনত্ব অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণুর দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়। ফলে ঐ পরমাণুতে আংশিক ঋণাত্মক চার্জ এবং অপর পরমাণুতে আংশিক ধনাত্মক চার্জ সৃষ্টি হয়।
পোলারায়ন কাকে বলে?
যখন কোনো একটি ক্যাটায়ন একটি অ্যানায়নের খুব নিকটে আসে, তখন ক্যাটায়নের নিউক্লিয়াস বা সামগ্রিক ধনাত্মক চার্জ অ্যানায়নের ইলেক্ট্রন মেঘকে নিজের দিকে বিকর্ষণ করে। একই সাথে ক্যাটায়নটি অ্যানায়নের নিউক্লিয়াসকে বিকর্ষণ করে। এরূপ আকর্ষণ ও বিকর্ষণের ফলে অ্যানায়নের ইলেক্টন মেঘ ক্যাটায়নের দিকে সরে আসে। আয়নিক যৌগে ইলেক্টন মেঘের এই অবস্থাকে ক্যাটায়ন দ্বারা অ্যানায়নের পোলারায়ন বলে।
পোলারায়নের বৈশিষ্ট্য
পোলারায়নের ফলে আয়নিক যৌগ বা তড়িৎযোজী যৌগের মধ্যে আংশিক সমযোজী যৌগের ধর্ম প্রকাশ পায়। এর ফলে যৌগের গলনাঙ্ক, পানিতে দ্রাব্যতা, কার্বনেট লবণের তাপীয় স্থিতি ইত্যাদি প্রতি স্থিতি ইত্যাদি প্রতি ক্ষেত্রে হ্রাস পায়। যেমন- NaCl এর গলনাঙ্ক 801°C; কিন্তু পোলারায়নের প্রভাবে AlCl3 এর গলনাঙ্ক হ্রাস পেয়ে 190°C হয়।