শৈবাল কাকে বলে? শৈবাল এর বৈশিষ্ঠ্য
এখানে নিচে শৈবাল কী, শৈবাল কাকে বলে, শৈবাল এর বৈশিষ্ঠ্য সহ শৈবাল এর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পৃথিবীতে বহু প্রকার শৈবাল জন্মে থাকে। এদের কতক এককোষী, কতক বহুকোষী। এদের মধ্যে কতক স্থলজ, কতক অর্ধবায়বীয় এবং অধিকাংশই জলজ। এরা মিঠা পানিতে এবং নোনা পানিতে জন্মাতে পারে। শৈবাল বিষয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা, পরীক্ষণ, নিরীক্ষণ ও গবেষণা করাকে বলা হয় ফাইকোলজি বা শৈবালবিদ্যা। গ্রিক Phykos অর্থ seaweed । seaweed অর্থ শৈবাল। শৈবালবিদ্যাকে অ্যালগোলজি ও বলা হয়।
শৈবাল কাকে বলে
অত্যন্ত সরল প্রকৃতির সালোকসংশ্লেষণকারী, অভাস্কুলার, সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ (অধিকাংশই জলজ) যাদের জননাঙ্গ এককোষী এবং নিষেকের পর স্ত্রী জননাঙ্গে থাকা অবস্থায় কোনো ভ্রুণ গঠিত হয় না তাদের শৈবাল বলে।
শৈবালের বৈশিষ্ঠ্য
শৈবালের বৈশিষ্ঠ্য গুলো হলো-
১। শৈবাল সালোকসংশ্লেষণকারী স্বভোজী অপুষ্পুক উদ্ভিদ এবং আলো ছাড়া জন্মাতে পারে না।
২। এরা সুকেন্দ্রিক, এককোষী বা বহুকোষী। শৈবালে কখনও সত্যিকার মূল, কান্ড, পাতা, সৃষ্টি হয় না। অর্থ্যাৎ এরা সমাঙ্গদেহী (থ্যালয়েড)।
৩। এদের দেহে ভাস্কুলার টিস্যু নেই। এদের জননাঙ্গ সাধারণত এককোষী বা বহুকোষী হলেও তাতে কোনো বন্ধ্যা কোষের আবরণী থাকে না।
৪। এদের স্পোরাঞ্জিয়া (রেণুথলি) সর্বদাই এককোষী।
৫। এদের জাইগোট স্ত্রীজননাঙ্গে থাকা অবস্থায় কখনও বহুকোষী ভ্রূণে পরিণত হয় না।
৬। শৈবালের কোষ-প্রাচীর সাধারণত সেলুলোজ নির্মিত।
৭। শৈবালের যৌন জনন আইসোগ্যামাস, অ্যানাইসোগ্যামাস অথবা ঊগ্যামাস।
৮। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ শৈবালের সঞ্চিত খাদ্য শর্করা; সায়ানোব্যাকটেরিয়াতে গ্লাইকোজেন।
৯। এরা সাধারণত জলীয় বা আর্দ্র পরিবেশে জন্মায়।