সক্রিয়ণ শক্তি কাকে বলে? সক্রিয়ণ শক্তির ব্যাখ্যা
এখানে নিচে সক্রিয়ণ শক্তি কি, সক্রিয়ণ শক্তি কাকে বলে, সক্রিয়ণ শক্তির উদাহরণ এবং সক্রিয়ণ শক্তির ব্যাখ্যা সহ সক্রিয়ণ শক্তির বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রতিটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয়। নতুন পদার্থ উৎপন্ন হতে হলে শক্তির প্রভাবে পরমাণুগুলোর মধ্যে পুরাতন বন্ধন ভাঙতে হয় এবং নতুন বন্ধন গড়তে হয়। অর্থাৎ কোনো বিক্রিয়ার বিক্রিয়ক পদার্থ উৎপাদ পদার্থে পরিণত হওয়ার কালে বিক্রিয়ক অণু বা কণাগুলোতে একটু নূন্যতম শক্তি প্রয়োজন হয়। বিক্রিয়াকালে বিক্রিয়কের প্রয়োজনীয় এ ‘নূন্যতম শক্তি’কে সক্রিয়ণ শক্তি বলে।
সক্রিয়ণ শক্তি কাকে বলে
কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো বিক্রিয়ার বিক্রিয়কের একটি পারস্পারিক আণবিক সংঘর্ষ দ্বারা বা অন্য কোনো উপায়ে বিক্রিয়কের গড় শক্তি অপেক্ষা যে পরিমাণ অধিক শক্তি লাভ করে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের উপযুক্ততা অর্জন করে, তাকে ঐ বিক্রিয়ার সক্রিয়ণ শক্তি বলে। বিক্রিয়কের যে অণুসমূহ উক্ত সক্রিয়ণ শক্তি লাভ করে তাদেরকে বলা হয় সক্রিয় অণু।
সক্রিয়ণ শক্তির ব্যাখ্যা
বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বস্তু কণার যে অংশ এ নূন্যতম শক্তিমান অর্জন করতে পারে তারাই বিক্রিয়ার সক্রিয় কণা হিসেবে বিবেচিত হয়। ন্যূনতম শক্তিমাত্রাযুক্ত কণাগুলো বিক্রিয়ক ও উৎপাদের শক্তির মধ্যবর্তী একটি অস্থায়ী জটিল অবস্থায় অবস্থান করে। প্রারম্ভিক অবস্থায় বিক্রিয়ক কণার গড় শক্তি এবং অস্থায়ী জটীল অবস্থায় বস্তু কণার গড় শক্তি-এর পার্থক্যকে সক্রিয়ণ শক্তি বলে। বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ অণু গঠনকালে বিক্রিয়ক অণুকে শক্তির একটি বাধা অতিক্রম করতে হয়। আর এ বাধা অতিক্রম করতে হলে তাদের একটি ন্যূনত্ম শক্তি লাভ করতে হয়। এ শক্তির নাম বিক্রিয়ার সক্রিয়ণ শক্তি। অতএব বিক্রিয়া সংঘটিত হতে হলে বিক্রিয়ক বস্তু কণাকে এ সক্রিয়ণ শক্তি অর্জন করতে হয়।