সম্প্রতি পড়া একটি বই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা
এখানে নিচে বাংলা ২য় পত্রের লিখিত অংশের সম্প্রতি পড়া একটি বই সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা বা সম্প্রতি পড়া একটি বই নিয়ে সংলাপ দেওয়া হলো।
বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় প্রায়ই এ বিষয়ে সংলাপ রচনা আসে। তাই সম্প্রতি পড়া একটি বই সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ বা কথোপকথন নিচে দেওয়া হলো।
সম্প্রতি পড়া বই নিয়ে সংলাপ
আয়েশা: আরে আফরিন কেমন আছিস, অনেক দিন পরে তোর সঙ্গে দেখা। তোর দিনগুলো কীভাবে যাচ্ছে? আফরিন এই তো বন্ধু, ভালো আছি। ইদানীং কোথাও তেমন একটা বের হই না। একটু বাড়তি পড়াশোনার দিকে মন দিয়েছি।
আয়েশা: কী পড়ছিস আজকাল?
আফরিন: না তেমন কোনো শাস্ত্র নিয়ে বসিনি। গল্প-উপন্যাস পড়ছিলাম। বঙ্কিমচন্দ্রের লেখাগুলো পড়ছিলাম।
আয়েশা: বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা আমিও পড়তে চেয়েছি, কিন্তু আমার কাছে দুর্বোধ্য লাগে। তুই কোন লেখাটা পড়ছিস?
আফরিন: আমি কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের প্রায় লেখাই পড়েছি। এর মধ্যে ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসটি খুব ভালো লেগেছে।
আয়েশা: ‘কপালকুণ্ডলা’ বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস, এবং বাংলা সাহিত্যের সার্থক রোমান্সধর্মী উপন্যাস। ঔপন্যাসিক চমৎকারভাবে রোমান্সকে এ উপন্যাসে উপস্থাপন করেছেন। আফরিন উপন্যাসের চরিত্র সম্পর্কে কিছু বল।
আয়েশা: প্রকৃতপ্রস্তাবে, লেখক কাহিনির প্রয়োজনে বিভিন্ন চরিত্র সৃষ্টি করেছেন বইটিতে। নবকুমার এ উপন্যাসের নায়ক আর নায়িকা প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা কপালকুণ্ডলা, যাকে তান্ত্রিক সাধক কাপালিক লালনপালন করেছেন।
আফরিন: তোর মুখে শুনে তো বইটা পড়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে। তো বাকিটা বলে ফেল, তোর মুখেই শুনি।
আয়েশা: তো শোন। একপাশে নায়িকা পদ্মাবতী, যে নবকুমারের প্রথম স্ত্রী। কিন্তু সে দস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে নবকুমারের জীবন থেকে অনেক বছর আগে হারিয়ে যায়। এর মাঝে কপালকুণ্ডলার সাথে নবকুমারের পরিচয় ও বিয়ে হয়। এরপর পদ্মাবতীর প্রত্যাবর্তন, কাপালিকের সাথে ষড়যন্ত্র এবং কপালকুণ্ডলাকে অসতী হিসেবে নবকুমার সন্দেহ করলে নদীর জলে তার আত্মবিসর্জন। নবকুমারও ভুল বুঝতে পেরে কপালকুণ্ডলার সাথে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার মাধ্যমে কাহিনির সমাপ্তি ঘটে।
আফরিন: ধন্যবাদ আয়েশা। তুই খুব মজা করে গল্পটি শুনিয়েছিস। আমি নিশ্চয়ই বঙ্কিমচন্দ্রের বাকি বইগুলো পড়ে নেব।
আয়েশা: তোকেও ধন্যবাদ।