সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর [অনুধাবনমূলক]
এখানে নিচে সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর বা সুচেতনা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।
উচ্চমাধ্যমিক একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের পদ্যাংশের একটি কবিতার নাম সুচেতনা। ‘সুচেতনা’ কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কবির অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। এ কবিতায় ‘সুচেতনা’ শব্দটির মধ্য দিয়ে তিনি আত্মচেতনাজাত এমন এক সত্যকে উপস্থাপন করেছেন, যা আলোকময় এক সমৃদ্ধ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখায়। এখানে সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো।
সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্নের উত্তর
‘সুচেতনা’ কবিতায় সুচেতনার কথা উত্থাপনের মধ্য দিয়ে কবি মানুষের মাঝে শুভবোধের উদ্বোধন কামনা করেছেন। এই সুচেতনা কবির অত্যন্ত প্রার্থিত আরাধ্য এক চেতনানিহিত বিশ্বাস। আলোচ্য কবিতাটিতে উপমার বহুমাত্রিক ব্যবহারে কবি তাঁর এই অন্তর্গত বিশ্বাসকেই শিল্পিত করে তুলেছেন। এ কবিতায় তাঁর এই বিশ্বাস মূলত দূরবর্তী দ্বীপসদৃশ ‘একটি ধারণা।
পৃথিবীর নির্জনতায়, বিচিত্র টানাপোড়েন বা রক্তপাতের মতো বিপর্যয়ে এর ব্যত্যয় ঘটে না। কবির চেতনাগত এই বিশ্বাসই শেষাবধি হিংসার বিষবাষ্প থেকে সৃষ্ট পৃথিবীর গভীরতর অসুখকে সারিয়ে তুলতে পারে। সর্বোপরি এটি আমাদের এক মুক্ত, আলোকোজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন দেখায় । জীবনমুক্তির এই চেতনাই মানবসমাজের অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করবে, শাশ্বত রাত্রির বুক থেকে নেতিবাচকতার অন্ধকার দূর করে অনন্ত সূর্যোদয় ঘটাবে।
সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
এখানে কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন বা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন এবং এর উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
অনুধাবন প্রশ্ন-১: ‘সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ’- চরণটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সুচেতনা নামে এক শুভচেতনার কথাই এখানে বোঝানো হয়েছে; কবির কল্পনায় যা কর্মক্লান্ত সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন। মারণপ্রবণ সভ্যতায় সবাই যেখানে রণ, রক্ত, সফলতা নিয়ে ব্যস্ত সেখানে সুচেতনা এখনও দূরবর্তী দ্বীপের মতো দুর্লভ। এই শুভচেতনা সর্বত্র বিস্তারিত বা বিরাজমান নয়। সম্পদ, ক্ষমতা ও আধিপত্যের লোভ থেকে দূরে এমন দ্বীপের প্রকৃতির নিবিড় আশ্রয়ে যে নির্জনতা বিদ্যমান তা কবির কাঙ্ক্ষিত। কারণ সেই পরিবেশই দিতে পারে সুচেতনার সন্ধান।
অনুধাবন প্রশ্ন-২: কবি সুচেতনাকে দূরতর দ্বীপের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন?
উত্তর: কবির চেতনায় সুচেতনা দূরতর দ্বীপের সঙ্গে তুলনীয় কারণ, অর্থ-ক্ষমতা-আধিপত্যকামী সভ্যতায় মগ্ন মানুষ থেকে সুচেতনার অবস্থান অনেক দূরে। রণ-রক্ত-সফলতা নিয়ে ব্যস্ত যে নাগরিক ও আধুনিক সভ্যতা সেখানে সুচেতনা এখনো দূরবর্তী দ্বীপের মতো দুর্লভ। সবার মাঝে সুচেতনার উপস্থিতি নেই । তবে এই অর্থ-ক্ষমতা আধিপত্যের লোভ থেকে দূরে গিয়ে যারা পৃথিবীর মঙ্গলচিন্তা করে তারা পায় সেই দূরতর দ্বীপসদৃশ সুচেতনার সান্নিধ্য। আর এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কবি সুচেতনাকে দূরতর দ্বীপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-৩: ‘সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে নির্জনতা আছে।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে নির্জনতা আছে।’— কথাটির মাধ্যমে কবি তাঁর নির্জনতাপ্রিয় মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কবি জীবনানন্দ দাশ- আধুনিক সভ্যতার নানাবিধ সংকট থেকে মুক্তির প্রত্যাশী। কবি জানেন, তার জন্য প্রয়োজন মানুষের মনে সুচেতনার উদ্বোধন। কিন্তু নাগরিক জীবনের কোলাহলে সুচেতনার উপস্থিতি দুর্লভ। এগুলো থেকে দূরে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে অর্থাৎ প্রকৃতির নিবিড় আশ্রয়ে যে নির্জনতা তা কবির কাঙ্ক্ষিত। কারণ এমন পরিবেশে বিরাজমান নির্জনতা মানুষকে দিতে পারে সুচেতনার সন্ধান।
অনুধাবন প্রশ্ন-৪: ‘এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য; তবুও শেষ সত্য নয়।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সভ্যতার ধ্বংসাত্মক দিকগুলোকে স্বীকার করলেও একেই শেষ সত্য বলে না মানার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে প্রশ্নোক্ত চরণে। মানুষের জীবনের বিফলতা ও সফলতার দ্বন্দ্ব অতীতেও ছিল এখনো আছে। সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি বহু যুদ্ধ-রক্তপাত-প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কিন্তু একে শেষ সত্য হিসেবে মেনে নিলে মানুষ গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হবে এবং সমাজের কল্যাণসাধন বাধাগ্রস্থ হবে। সভ্যতার এই ধ্বংসাত্মক দিককে পৃথিবীর শেষ সত্য বলে মানতে পারছেন না আশাবাদী কবি। আর তাই তিনি বলেছেন, এই পৃথিবীর রণ-রক্ত-সফলতা সত্য; তবু শেষ সত্য নয়।
অনুধাবন প্রশ্ন-৫: পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতাকে কবি শেষ সত্য বলে মনে করেন না কেন?
উত্তর: পৃথিবীতে মানুষের আলোকিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পরম আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতাকে কবি শেষ সত্য বলে মনে করেন না। পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি বহু যুদ্ধ-রক্তপাত-প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের জীবনের বিফলতা ও সফলতা অতীতেও ছিল, এখনো আছে। কিন্তু কবির স্থির বিশ্বাস রণ রক্তের বীভৎসতা থেকে ভবিষ্যতে পৃথিবীর মানুষের মুক্তি মিলবে। আর এই আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতাকে কবি শেষ সত্য বলে মনে করেন না ৷
অনুধাবন প্রশ্ন-৬: কবির প্রাণ অনেক রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে কেন?
উত্তর: পৃথিবীর মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসার জন্য কবির প্রাণ অনেক রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে। প্রেম, সত্য ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠা সহজ নয় এই পৃথিবীতে। অনেক রক্তাক্ত পথ পাড়ি দিয়েই পৌছাতে হয় ভালোবাসার পরিণামে। কবি জীবনানন্দ দাশ মানুষের মঙ্গলে, কল্যাণে বিশ্বাসী। তাঁর প্রাণ পৃথিবীর মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা দিতে চেয়েছে। আর মানুষকে ভালোবাসতেই কবির প্রাণ অনেক রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে অর্থাৎ অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-৭: ‘মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন উদার মানবতাবোধ ও পৃথিবীর সকল জাতি-শ্রেণি-বর্ণের মানুষের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ। পৃথিবীতে মানবসমাজ নানা জাতি-শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণে বিভাজিত। ফলে অনেক সময় মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ নিজস্ব জাতি-ধর্মের মানুষের প্রতিই সীমিত থাকে। কিন্তু মানবতাবোধের উদ্বোধন প্রত্যাশা করে পৃথিবীর সকল জাতি-শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণের মানুষকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসতে চেয়েছেন কবি। তাঁর দৃষ্টিতে এমন উদার ভালোবাসাই হলো মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা।
অনুধাবন প্রশ্ন-৮: ‘দেখেছি আমারি হাতে হয়ত নিহত ভাই বোন বন্ধু পরিজন পড়ে আছে’- চরণদ্বয় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ব্যাখ্যেয় চরণদ্বয়ে কবি বুঝিয়েছেন, রক্তাক্ত পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় ভালোবাসার পরিণামে। স্বার্থময় সমাজ, সভ্যতায় সফলতা-বিফলতার হিসেব-নিকাশে মানুষের ভালোবাসার মাঝেও হিংসা-দ্বেষ, দাঙ্গা-যুদ্ধ চলে আসে। কবি সকল মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা দিতে চান। কিন্তু তিনি দেখেন মতাদর্শ, ধর্ম-জাতির ভিন্নতার কারণে মানুষের ভালোবাসা ক্লিষ্ট হয় স্বজন হননের কালিমায়। প্রেম, সত্য ও কল্যা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও পৃথিবীতে ঘটে অগণিত প্রাণহানি ও রক্তপাতের ঘটনা।— এ কথা বোঝাতেই কবি বলেছেন ‘দেখেছি আমারি হাতে হয়তো নিহত ভাইবোন বন্ধু পরিজন পড়ে আছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-৯: মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা দিতে গিয়েও কবি স্বজনের মৃতদেহ দেখেছেন কেন?
উত্তর: ভালোবাসার পরিণামে পৌছাতেও অনেক রক্তাক্ত পথ পাড়ি দিতে হয় বলে মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা দিতে গিয়েও কবি স্বজনের মৃতদেহ দেখেছেন । সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি বহু যুদ্ধ রক্তপাত-প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কবি এমন অবক্ষয়িত সমাজ বাস্তবতার মাঝে অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসতে চেয়েছেন। কিন্তু সমাজে বিরাজিত’ প্রতিহিংসা ও মারণপ্রবণতা কবিকে বিমূঢ় করেছে বারবার। তাই প্রেম, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও কবি প্রত্যক্ষ করেছেন স্বজনের প্রাণহানি, স্বজনের মৃতদেহ।
অনুধাবন প্রশ্ন-১০: ‘পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন’— উক্তিটিতে কবির সমসাময়িককালে পৃথিবীতে বিরাজমান ধ্বংসোন্মুখ অবস্থার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। মানবপ্রেমী কবি তাঁর সমসাময়িককালে পৃথিবীতে মানুষে মানুষে বিরাজমান অসহিষ্ণুতার ভয়ংকর রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন। অগণিত প্রাণহানি, রক্তপাতের ঘটনা তাঁকে মর্মাহত করেছে। এই ধ্বংসাত্মক রূপকে তিনি পৃথিবীর ‘গভীর গভীরতর অসুখ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন; যার পরিসমাপ্তিই কবির একমাত্র প্রত্যাশা।
অনুধাবন প্রশ্ন-১১: ‘মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: মানবজীবনে নানা রূঢ়তা থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীর প্রতি, পৃথিবীর মানুষের প্রতি যে মানুষের দায়বদ্ধতা ও ঋণ রয়েছে কবি তাই বুঝিয়েছেন। এই পৃথিবীর রণ-রক্ত-সফলতার দ্বন্দ্বে মানবজীবন আন্দোলিত। ভালোবাসার পরিণামে পৌঁছাতেও মানুষকে পাড়ি দিতে হয় রক্তাক্ত পথ। সভ্যতার মারণপ্রবণতায় অসুস্থ পৃথিবীর যন্ত্রণা মানুষকে ক্লিষ্ট করে। তবুও কবি মনে করেন এই পৃথিবী মানুষকে জীবন উপভোগের যে সুযোগ দিয়েছে তার জন্য পৃথিবীর প্রতি মানুষের ঋণ ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। মানুষকে পৃথিবীর কল্যাণে নিয়োজিত হতে হবে।
অনুধাবন প্রশ্ন-১২: ‘এই পথে আলো জ্বেলে- এ-পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘এই পথে আলো জ্বেলে— এ-পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে।’- বলতে কবি বুঝিয়েছেন, শুভ, কল্যাণ ও মঙ্গলচিন্তার আলোকিত পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে। অর্থ-ক্ষমতা-আধিপত্যকামী সভ্যতায় স্বার্থমগ্ন মানুষ সুচেতনা থেকে দূরে অবস্থিত। সফলতা-বিফলতার দ্বন্দ্বে পৃথিবী আজ অসুস্থ—গভীর গভীরতর অসুখ তার। তবু কবি বিশ্বাস করেন ধ্বংস ও ভাঙনের শক্তিগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে নতুন পৃথিবী সৃজনে। প্রগতিশীল মানুষদের নিরন্তর প্রয়াসে একদিন পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে। আর পৃথিবীর সেই মুক্তি হবে— শুভ, কল্যাণ ও মঙ্গলচিন্তার আলোকিত পথে।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৩: ‘পৃথিবীর ক্রমমুক্তি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: অসুস্থ পৃথিবীর ধ্বংস ও ভাঙনের দোলাচল থেকে মুক্ত হয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর পৃথিবী নির্মাণের অগ্রযাত্রাকে কবি ‘পৃথিবীর ক্রমমুক্তি’ বলেছেন। ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি অনুভব করেছেন ‘পৃথিবীর গভীরতর অসুস্থতা’। তবে এই অসুস্থ পৃথিবীর ধ্বংস ও ভাঙনের শক্তিগুলোই আবার পরোক্ষভাবে কাজ করে যায় নব পৃথিবীর উদ্বোধনের জন্য। এই নবপৃথিবী হলো কবির কাঙ্ক্ষিত মানুষের জন্য শুভ ও কল্যাণবহ পৃথিবী। সুচেতনার আলোকিত পথে অসুস্থ পৃথিবী থেকে শুভ ও কল্যাণবহ পৃথিবীর দিকে মানুষের যে অগ্রযাত্রা কবির চেতনায় তা ‘পৃথিবীর ক্রমমুক্তি’।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৪: ‘সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ’ চরণটিতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: পৃথিবীর ক্রমমুক্তির জন্য যে বহু প্রয়াস ও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন তা বোঝাতে কবি বলেছেন, সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ। কবির বিশ্বাস, সত্য ও মঙ্গলচিন্তার আলোকিত পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে। তবে ইতিহাস বলে, মানবের বা পৃথিবীর মুক্তি কোনো সহজ কাজ নয়। সামষ্টিক মানুষের দীর্ঘকালের সাধনার ফলেই কেবল পৃথিবীতে মানুষের সত্যিকার কল্যাণ নিশ্চিত হয়। অর্থাৎ সুচেতনার পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তির জন্য প্রয়োজন বহু প্রয়াস এবং সে পথ অতিক্রম করতে প্রয়োজন হয় দীর্ঘ সময়।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৫: পৃথিবীর ক্রমমুক্তিকে কেন অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ বলেছেন?
উত্তর: সুচেতনার পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তির জন্য প্রগতিশীল মানুষদের সুদীর্ঘ সাধনা প্রয়োজন বলে কবি পৃথিবীর ক্রমমুক্তিকে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ বলে চিহ্নিত করেছেন। কবি জীবনানন্দ দাশ বিশ্বাস করেন, শুভ, কল্যাণ ও মঙ্গলচিন্তার আলোকিত পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে। তবে ইতিহাস বলে, মানবের বা পৃথিবীর মুক্তি কোনো সহজ কাজ নয়। সামষ্টিক মানুষের দীর্ঘকালের সাধনার ফলেই কেবল পৃথিবীর সত্যিকার কল্যাণ প্রত্যাশা করা যায়। তাই তো কবি পৃথিবীর ক্রমমুক্তিকে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৬: ‘এ-বাতাস কী পরম সূর্যকরোজ্জ্বল’— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘এ বাতাস কী পরম সূর্যকরোজ্জ্বল’- চরণটিতে আছে পৃথিবী সম্পর্কে কবির পরম আশাবাদী চেতনার প্রকাশ। পৃথিবী সম্পর্কে ইতিবাচক মত পোষণ করে কবি পৃথিবীর ক্রমমুক্তির প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, তার জন্য প্রয়োজন হবে অনেক শতাব্দীর মনীষীর সাধনা। এর পরেই ইতিবাচক বোধে উজ্জীবিত কবি বাতাসকে দেখছেন পরম সূর্যকরোজ্জ্বল রূপে। কবির চেতনায় সূর্য আশাবাদের প্রতীক, সুনিশ্চিত আলোকিত ভবিষ্যতের প্রতীক। তাই কবি যখন বলেন, ‘এ বাতাস কী পরম সূর্যকরোজ্জ্বল’; তখন আমরা বুঝতে পারি কবি এক পরম আশাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত।
প্রশ্ন-১৭: বাতাসকে পরম সূর্যকরোজ্জ্বল বলে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: বাতাসকে পরম সূর্যকরোজ্জ্বল বলে কবি মানবসমাজ সম্পর্কে তাঁর ইতিবাচক ভাবনার পরিচয় দিয়েছেন। সূর্যের আলো রাতের অন্ধকারকে দূর করে। এ আলো তাই নতুন সম্ভাবনার প্রতীক। সূর্যালোকের ছোঁয়া পাওয়া বাতাসও যেন পরম আশাবাদের পরশ বুলিয়ে যায়। আলোচ্য কবিতার কবি যে উন্নত মানবসমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তা যেন পরম সূর্যকরোজ্জ্বল বাতাসের মতোই নির্মল, প্রশান্তিতে পরিপূর্ণ।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৮: ‘ভালো মানবসমাজ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘ভালো মানব-সমাজ’ বলতে কবি জীবনানন্দ দাশ সেই মানবসমাজকে বুঝিয়েছেন, যেখানে মানুষ সফলতা-বিফলতা দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হয়ে শুভ চেতনার আলো জ্বেলে আলোকিত পৃথিবী নির্মাণ করবে। কবি দেখেছেন, সমকালের নানা সংকটে মানবসমাজ বিপর্যস্ত। সকলেই অর্থ-ক্ষমতা-আধিপত্য চিন্তায় মগ্ন। ভালোবাসার পরিণতিতে পৌঁছাতেও ঘটে অনেক রক্তপাত। এমন অবস্থাতেও কবি বিশ্বাস করেন মানুষ সত্য ও মঙ্গলচিন্তার আলোকিত পথে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি ঘটাবে। সমাজের এই শুভ ও মঙ্গলকামী মানুষের দ্বারা যে মানবিক বোধসম্পন্ন সমাজ নির্মিত হবে, তা-ই কবির কাছে ‘ভালো মানব-সমাজ’ রূপে বিবেচিত।
অনুধাবন প্রশ্ন-১৯: ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: একটি সুন্দর মানবসমাজ নির্মাণে যাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়েও অক্লান্তভাবে চেষ্টা করে যান, তাঁদের বোঝাতে কবি ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন। কবি জানেন পৃথিবীর ক্রমমুক্তির মাধ্যমে একটি ভালো মানবসমাজ নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কাজ। তার জন্য সামষ্টিক মানুষের সুচেতনার উজ্জীবন ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী সাধনার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কবি বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হলেও নিরলস শ্রম ও মেধা দিয়ে যাবেন একটি মানবিক সমাজ নির্মাণে। কবি শ্রদ্ধার সঙ্গে এমন মানুষগুলোকে বিশেষিত করেছেন ‘ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিক’ শব্দবন্ধে।
অনুধাবন প্রশ্ন-২০: ‘আজ নয় ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে।’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: খুব দ্রুত না হলেও দূর ভবিষ্যতে যে একটি সুস্থ-সুন্দর পৃথিবী মানুষ গড়ে তুলবে তা বোঝাতে কবি বলেছেন, আজ নয়, ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে। ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবির বিশ্বাস, সুচেতনার আলো প্রজ্বালনের মাধ্যমেই সকল বিপর্যয় থেকে পৃথিবী ও মানুষের মুক্তি ঘটবে। পৃথিবীর ক্রমমুক্তির জন্য প্রয়োজন বহু প্রয়াস এবং সে পথ অতিক্রম করতে প্রয়োজন বহু সময়। এই সময় সচেতনার কারণে কবি ভেবেছেন, খুব দ্রুত না হলেও দূর ভবিষ্যতে মানুষ একদিন একটি সুস্থ, সুন্দর ও আলোকিত পৃথিবী গড়ে তুলতে পারবে।
অনুধাবন প্রশ্ন-২১: ‘সুচেতনা’ কবিতায় ‘অন্তিম প্রভাত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় ‘অন্তিম প্রভাত’ বলতে সুদূর ভবিষ্যতের আলোকিত সময়কে বোঝানো হয়েছে। ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি পৃথিবীর ক্রমমুক্তির মাধ্যমে সৌরকরোজ্জ্বল বাতাসের ন্যায় একটি ভালো মানবসমাজ নির্মাণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। কবি জানেন পৃথিবীর ক্রমমুক্তি বহু শতাব্দীর মানুষের সাধনা ছাড়া অসম্ভব। তাই ক্লান্তিহীন নাবিকের মতো মানুষ একটি ভালো মানবসমাজ গড়ার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা সফল হবে ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে। অর্থাৎ সুদূর ভবিষ্যতে নির্মিত হবে আলোকিত মানবসমাজ।
অনুধাবন প্রশ্ন-২২: ‘মাটি-পৃথিবীর টানে মানবজন্মের ঘরে কখন এসেছি’- চরণটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘মাটি-পৃথিবীর টানে মানবজন্মের ঘরে কখন এসেছি’- চরণটিতে কবির ইহজাগতিক বোধ ও পৃথিবীর প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। জীবনের অপার ক্লান্তির মাঝেও ক্লান্তিহীন কাজের মাধ্যমে কবি একটি ভালো মানবসমাজ নির্মাণ করতে চান। সেই আকাঙ্ক্ষায় মাটি ও পৃথিবীর টানে যেন তিনি পৃথিবীতে মানবরূপ লাভ করেছেন। ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সংকট প্রত্যক্ষ করে হয়তো চকিতে কবি মানবজন্ম লাভে অর্থহীনতার কথা বলেছেন তবুও বলা যায়, মাটি ও পৃথিবীর প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই তাঁর পৃথিবীতে আসা। কবি অন্তত তা-ই মনে করেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-২৩: ‘না এলেই ভালো হতো অনুভব ক’রে’- চরণটিতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘না এলেই ভালো হতো অনুভব ক’রে’- চরণটিতে কবি মানবরূপে জন্ম না নেওয়াকে আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে করেছেন। যুদ্ধ, রক্ত ও সফলতার দ্বন্দ্বে মানবসভ্যতা দোলায়িত। পৃথিবীব্যাপ্ত গভীর অসুখ বা বিপর্যয়। ব্যক্তি থেকে সমাজ সবই এর দ্বারা আচ্ছন্ন । এমন পরিস্থিতিতে, ব্যক্তিক বা সামষ্টিক সংকট প্রত্যক্ষ করে পৃথিবীতে মানবরূপে জন্ম না নেওয়াকে কবির নিকট আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে হয়েছে।
অনুধাবন প্রশ্ন-২৪: কবি কীভাবে মানবরূপে জন্মগ্রহণ করার সার্থকতা অনুভব করেন?
উত্তর: প্রকৃতির স্নিগ্ধতা ও সুচেতনার প্রাপ্তি থেকেই কবি মানবরূপে জন্মগ্রহণ করায় সার্থকতা অনুভব করেন। সফলতা ও বিফলতার দ্বন্দ্ব এবং মানুষের সভ্যতার টানাপোড়েনে শ্রান্ত কবির কখনো মনে হয়েছে মানবরূপে জন্মগ্রহণ করে তিনি সুখী নন। কিন্তু তাঁর সে অনুভবে পরিবর্তন এসেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের স্পর্শ এবং সুচেতনালব্ধ মঙ্গলাকাঙ্ক্ষা তাঁর বোধে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তাই শিশির শরীর ছুঁয়ে সমুজ্জ্বল ভোরে কবির মনে হয়েছে মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করতে পেরে তিনি গভীরভাবে লাভবান হয়েছেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-২৫: শিশির শরীর ছুঁয়ে কবির বোধের পরিবর্তন হয় কেন?
উত্তর: শিশির শরীর ছুঁয়ে কবি যে প্রাকৃতিক শান্তি অনুভব করেন, তাতেই কবির বোধের পরিবর্তন হয়। ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সংকট প্রত্যক্ষ করে পৃথিবীতে মানবরূপে জন্ম নেওয়াকে কবির আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে হয়নি। কিন্তু জীবনের সংগ্রামে ক্লান্ত কবি আরও একবার শিশির শরীর ছুঁয়ে সমুজ্জ্বল ভোরে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পুলক ও আনন্দ লাভ করেন। এই প্রাকৃতিক শান্তি ও আনন্দ জীবন সম্পর্কে কবির নেতিবাচক বোধের পরিবর্তন ঘটায়।
প্রশ্ন-২৬: ‘শাশ্বত রাত্রির বুকে সকলি অনন্ত সূর্যোদয়’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘শাশ্বত রাত্রির বুকে সকলি অনন্ত সূর্যোদয়’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন— পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালেই আছে সূর্যোদয় অর্থাৎ মুক্তির দিশা। কবির চেতনায় শাশ্বত রাত্রি হলো মানুষের সংকটপূর্ণ অতীত ও বর্তমানের প্রতীকী প্রকাশ। অন্যদিকে ‘অনন্ত সূর্যোদয়’ মানুষের সমুজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে ইঙ্গিত করে। কবির মতে, সুচেতনার বিকাশেই সেই সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের দেখা মিলবে। পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের ভেতর থেকেই আসবে মুক্তির দিশা। আর এ কথা বোঝাতেই কবি বলেছেন শাশ্বত রাত্রির বুকে সকলি অনন্ত সূর্যোদয়’।
অনুধাবন প্রশ্ন-২৭: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন কেন?
উত্তর: প্রাকৃতিক শান্তি ও নির্জনতায় শুভচেতনা বিরাজিত বলে কবি ‘সুচেতনা’ কবিতায় নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন। সভ্যতার রক্তক্ষয়ী হানাহানি, মারণপ্রবণতা, সফলতা-বিফলতার দ্বন্দ্ব কবিকে বিমূঢ় করে দিয়েছে। তিনি অনুভব করেছেন পৃথিবীর গভীরতর অসুস্থতা। পৃথিবীকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজন শুভচেতনার আলোকিত পথ। কবির বিশ্বাস নগরের যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবনে সুচেতনার অস্তিত্ব নেই । সুচেতনা বিরাজিত প্রাকৃতিক শান্তি ও নির্জনতায়। তাই ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি নির্জনতা প্রত্যাশা করেছেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-২৮: কবি মানবসমাজে সুচেতনা প্রত্যাশা করেছেন কেন?
উত্তর: পৃথিবীর ক্রমমুক্তি এবং একটি ভালো মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকে কবি মানবসমাজে সুচেতনা প্রত্যাশা করেছেন। কবি দেখেছেন পৃথিবীব্যাপ্ত গভীর অসুখ ও বিপর্যয়। সফলতা বিফলতার দ্বন্দ্বে ভালোবাসার মাঝেও হিংসা, দ্বেষ, দাঙ্গা, যুদ্ধ চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে কবি সমস্ত সংকট থেকে পৃথিবীর মুক্তি প্রত্যাশা করেন। সেই মুক্ত পৃথিবীতে তিনি নির্মাণ করতে চান একটি কল্যাণমুখী মানবসমাজ। যার জন্য সমাজে সুচেতনার উপস্থিতি একান্ত আবশ্যক। আর সে কারণেই কবি মানবসমাজে সুচেতনা প্রত্যাশা করেছেন।
অনুধাবন প্রশ্ন-২৯: কীভাবে পৃথিবীকে গভীরতর অসুস্থতা থেকে মুক্ত করা যাবে বলে কবি মনে করেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সুচেতনার আলোকিত পথে পৃথিবীকে গভীরতর অসুস্থতা থেকে মুক্ত করা যাবে বলে কবি মনে করেন। সভ্যতার মারণপ্রবণতা ও মানুষের স্বার্থপরতা দেখে কবির নিকট ‘পৃথিবীর গভীরতর অসুখ’ অনুভূত হয়েছে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালেই আছে মুক্তির দিশা। সুচেতনাই হলো পৃথিবীব্যাপ্ত গভীর অসুখ বা বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথ। কবি মনে করেন, এই সুচেতনার আলো প্রজ্বালনে সকল বিপর্যয় থেকে পৃথিবী মুক্ত হবে।
আরো দেখুনঃ
এখানে এইচএসসি বাংলা ১ম পত্রের সুচেতনা কবিতার মোট ২৯টি অনুধাবন প্রশ্ন বা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন দেওয়া হলো। এখান থেকে চাইলে এর পিডিএফও ডাউনলোড করা যাবে।