Bangla

সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

এখানে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্রের সুচেতনা কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।

উচ্চমাধ্যমিক একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা প্রথম পত্রের পদ্যাংশের একটি কবিতার নাম সুচেতনা। ‘সুচেতনা’ কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কবির অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। এ কবিতায় ‘সুচেতনা’ শব্দটির মধ্য দিয়ে তিনি আত্মচেতনাজাত এমন এক সত্যকে উপস্থাপন করেছেন, যা আলোকময় এক সমৃদ্ধ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখায়। সুচেতনা কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বা সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর এখানে দেওয়া হলো।

সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

‘সুচেতনা’ কবিতায় সুচেতনার কথা উত্থাপনের মধ্য দিয়ে কবি মানুষের মাঝে শুভবোধের উদ্বোধন কামনা করেছেন। এই সুচেতনা কবির অত্যন্ত প্রার্থিত আরাধ্য এক চেতনানিহিত বিশ্বাস। আলোচ্য কবিতাটিতে উপমার বহুমাত্রিক ব্যবহারে কবি তাঁর এই অন্তর্গত বিশ্বাসকেই শিল্পিত করে তুলেছেন। এ কবিতায় তাঁর এই বিশ্বাস মূলত দূরবর্তী দ্বীপসদৃশ একটি ধারণা।

পৃথিবীর নির্জনতায়, বিচিত্র টানাপোড়েন বা রক্তপাতের মতো বিপর্যয়ে এর ব্যত্যয় ঘটে না। কবির চেতনাগত এই বিশ্বাসই শেষাবধি হিংসার বিষবাষ্প থেকে সৃষ্ট পৃথিবীর গভীরতর অসুখকে সারিয়ে তুলতে পারে। সর্বোপরি এটি আমাদের এক মুক্ত, আলোকোজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন দেখায় । জীবনমুক্তির এই চেতনাই মানবসমাজের অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করবে, শাশ্বত রাত্রির বুক থেকে নেতিবাচকতার অন্ধকার দূর করে অনন্ত সূর্যোদয় ঘটাবে।

সুচেতনা কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

এখানে কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত সুচেতনা কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন এবং এর উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

লেখক-পরিচিতি

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১: জীবনানন্দ দাশ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২: জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান বরিশাল।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩: জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কুসুমকুমারী দাশ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪: কুসুমকুমারী দাশ কী হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন?
উত্তর: কুসুমকুমারী দাশ কবি হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫: জীবনানন্দ দাশ কার কাছ থেকে কবিতা লেখার প্রেরণা লাভ করেন?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ তাঁর মা কুসুমকুমারী দাশের কাছ থেকে কবিতা লেখার প্রেরণা লাভ করেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬: জীবনানন্দ দাশের পিতার নাম কী?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের পিতার নাম সত্যানন্দ দাশ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৭: জীবনানন্দ দাশ মূলত কোন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ মূলত ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৮: জীবনানন্দ দাশ কবিতায় কেমন জগৎ তৈরি করেন?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ কবিতায় সূক্ষ্ম ও গভীর অনুভবের জগৎ তৈরি করেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৯: জীবনানন্দ দাশের কবিতায় নিসর্গের সঙ্গে কী যুক্ত হয়?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের কবিতায় নিসর্গের সঙ্গে অনুভব ও বোধের বহুতর মাত্রা যুক্ত হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১০: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশের কাব্যবৈশিষ্ট্যকে কী বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশের কাব্যবৈশিষ্ট্যকে ‘চিত্ররূপময়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১১: ‘নির্জনতম কবি’ কে?
উত্তর: ‘নির্জনতম কবি’ জীবনানন্দ দাশ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১২: কবি বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে নির্জনতম কবি বলে অভিহিত করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৩: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবনানন্দ দাশের কোন ধরনের কবিতা বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল?
উত্তর: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতিবিষয়ক কবিতা বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৪: ‘মহাপৃথিবী’ গ্রন্থটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: ‘মহাপৃথিবী’ গ্রন্থটি জীবনানন্দ দাশ রচনা করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৫: ‘মহাপৃথিবী’ গ্রন্থটি কোন শ্রেণির গ্রন্থ?
উত্তর: ‘মহাপৃথিবী’ একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৬: ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটির কবি কে?
উত্তর: ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটির কবি জীবনানন্দ দাশ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৭: ‘মাল্যবান’ জীবনানন্দ দাশের কোন শ্রেণির গ্রন্থ?
উত্তর: ‘মাল্যবান’ জীবনানন্দ দাশ রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৮: ‘কবিতার কথা’ কোন শ্রেণির গ্রন্থ?
উত্তর: ‘কবিতার কথা’ একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-১৯: জীবনানন্দ দাশ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২০: কবি জীবনানন্দ দাশ কীভাবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশ ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।

মূলপাঠ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২১: কবি সুচেতনাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: কবি সুচেতনাকে এক দূরতর দ্বীপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২২: ‘সুচেতনা’ কবিতায় বিকেলের নক্ষত্রের কাছে কী আছে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় বিকেলের নক্ষত্রের কাছে আছে এক দূরতর দ্বীপ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৩: কোথায় নির্জনতা আছে?
উত্তর: দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে নির্জনতা আছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৪: দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে কী আছে?
উত্তর: দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে নির্জনতা আছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৫: কবি জীবনানন্দ দাশের মতে, কোনটি শেষ সত্য নয়?
উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশের মতে, এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা শেষ সত্য নয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৬: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি প্রাণ কোথায় ঘুরেছে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি প্রাণ অনেক রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৭: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি পৃথিবীর মানুষকে কেমন ভালোবাসা দিতে চেয়েছেন?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি পৃথিবীর মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসা দিতে চেয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৮: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি মানুষকে ভালোবাসা দিতে গিয়েও কী দেখেছেন ?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি মানুষকে ভালোবাসা দিতে গিয়েও দেখেছেন হয়তো নিহত অবস্থায় পড়ে আছেন তাঁর স্বজন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-২৯: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি কার গভীর অসুখের কথা বলেছেন?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি পৃথিবীর গভীর অসুখের কথা বলেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩০: ‘সুচেতনা’ কবিতামতে মানুষ কার কাছে ঋণী?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতামতে মানুষ পৃথিবীর কাছে ঋণী।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩১: কোনটি অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ?
উত্তর: পৃথিবীর ক্রমমুক্তি অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩২: কোন আলো জ্বেলে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে?
উত্তর: সুচেতনার আলো জ্বেলে পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৩: ‘সুচেতনা’ কবিতায় কোন বাতাসের কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতায় পরম সূর্যকরোজ্জ্বল বাতাসের উল্লেখ আছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৪: সূর্যকরোজ্জ্বল বাতাসের সঙ্গে কবি কীসের তুলনা করেছেন?
উত্তর: সূর্যকরোজ্জ্বল বাতাসের সঙ্গে কবি ভালো মানব-সমাজের তুলনা করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৫: ক্লান্ত ক্লান্তিহনি নাবিকের হাতে কবি কী গড়ে দিতে চান?
উত্তর: ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে কবি ভালো মানব-সমাজ গড়ে দিতে চান।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৬: ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকেরা নিজ হাতে কী গড়ে দেবে?
উত্তর: ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকেরা নিজ হাতে ভালো মানব-সমাজ গড়ে দেবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৭: ক্লান্তিহীন নাবিকেরা কখন ভালো মানব-সমাজ গড়তে পারবে বলে কবি আশা করেন?
উত্তর: ক্লান্তিহীন নাবিকেরা ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে ভালো মানব-সমাজ গড়তে পারবে বলে কবি আশা করেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৮: মাটি পৃথিবীর টানে কবি কোথায় এসেছেন?
উত্তর: মাটি পৃথিবীর টানে কবি মানবজন্মের ঘরে এসেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৩৯: কোথায় এসে কবির না এলেই ভালো হতো—এমন অনুভব হয়েছে?
উত্তর: মানবজন্মের ঘরে এসে কবির না এলেই ভালো হতো- এমন অনুভব হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪০: শিশির শরীর ছুঁয়ে— কবির কী মনে হয়?
উত্তর: শিশির শরীর ছুঁয়ে কবির মনে হয় মানবজন্মের ঘরে এসে গভীরতর লাভ হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪১: কবি কখন শিশির শরীর ছুঁয়েছেন?
উত্তর: কবি শিশির শরীর ছুঁয়েছেন সমুজ্জ্বল ভোরে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪২: শাশ্বত রত্রির বুকে কী হবে বলে কবির বিশ্বাস?
উত্তর: শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয় হবে বলে কবির বিশ্বাস।

শব্দার্থ ও টীকা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৩: শুভচেতনার কথা বোঝাতে কবি কোন শব্দ ব্যবহার করেছেন?
উত্তর: শুভচেতনার কথা বোঝাতে কবি ‘সুচেতনা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৪: কবির কল্পনায় দ্বীপের মতো বিচ্ছিন্ন চেতনায় কী বিরাজ করে?
উত্তর: কবির কল্পনায় দ্বীপের মতো বিচ্ছিন্ন চেতনায় নির্জনতা বিরাজ করে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৫: ‘সুচেতনা’ কবিতা অনুযায়ী কী সর্বত্র বিস্তারিত বা বিরাজমান নয়?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতা অনুযায়ী শুভচেতনা সর্বত্র বিস্তারিত বা বিরাজমান নয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৬: সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি কী সংঘটিত হয়েছে?
উত্তর: সভ্যতার বিকাশের পাশাপাশি বহু যুদ্ধ রক্তপাত-প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৭: কোনটি পৃথিবীর শেষ সত্য নয়?
উত্তর: সভ্যতার ধ্বংসাত্মক দিকটি পৃথিবীর শেষ সত্য নয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৮: কীভাবে ভালোবাসার পরিণামে পৌঁছাতে হয়?
উত্তর: অনেক রক্তাক্ত পথ পাড়ি দিয়েই ভালোবাসার পরিণামে পৌঁছাতে হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৪৯: পৃথিবীব্যাপ্ত গভীর অসুখ থেকে মুক্তির পথ কী?
উত্তর: পৃথিবীপ্যপ্ত গভীর অসুখ থেকে মুক্তির পথ শুভচেতনা।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫০: পৃথিবীতে মানবরূপে জন্ম না নেওয়াকে আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে হয় কখন?
উত্তর: ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সংকট প্রত্যক্ষ করে পৃথিবীতে মানবরূপে জন্ম না নেওয়াকে আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫১: কোনটি আমাদের গভীরভাবে প্রাণিত ও ঋণী করে?
উত্তর: পৃথিবী ও শুভচেতনা থেকে প্রাপ্তিই আমাদের গভীরভাবে প্রাণিত ও ঋণী করে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫২: পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালে কী আছে?
উত্তর: পৃথিবীব্যাপ্ত অন্ধকার বা অশুভের অন্তরালে আছে সূর্যোদয়, মুক্তির দিশা।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৩: কীভাবে আলোকোজ্জ্বল পৃথিবীর দেখা মিলবে?
উত্তর: সুচেতনার বিকাশে আলোকোজ্জ্বল পৃথিবীর দেখা মিলবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৪: কোন ধরনের সংকট প্রত্যক্ষ করে কবি মানবরূপে জন্ম না নেওয়াকে আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে করেছেন?
উত্তর: ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সংকট প্রত্যক্ষ করে কবি মানবরূপে জন্ম না নেওয়াকে আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে করেছেন

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৫: কোন প্রাপ্তি আমাদের শেষ পর্যন্ত গভীরভাবে প্রাণিত করে?
উত্তর: পৃথিবীর সুচেতনা থেকে প্রাপ্তিই আমাদের শেষ পর্যন্ত গভীরভাবে প্রাণিত করে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৬: পৃথিবীব্যাপ্ত অশুভের অন্তরালে কী আছে?
উত্তর: পৃথিবীব্যাপ্ত অশুভের অন্তরালে আছে সূর্যোদয়, মুক্তির দিশা।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৭: কোথায় অনন্ত সূর্যোদয় হবে বলে কবির বিশ্বাস?
উত্তর: শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয় হবে বলে কবির বিশ্বাস।

পাঠ-পরিচিতি

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৮: ‘সুচেতনা’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ করিতাটির রচয়িতা জীবনানন্দ দাশ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৫৯: ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেছেন জীবনানন্দ দাশ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬০: ‘সুচেতনা’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ কবিতাটি ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬১: ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬২: ‘সুচেতনা’ সম্বোধনে কবি কাকে সম্বোধন করেছেন?
উত্তর: ‘সুচেতনা’ সম্বোধনে কবি তাঁর আরাধ্য এক চেতনানিহিত বিশ্বাসকে সম্বোধন করেছেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৩: কবির বিশ্বাসমতে, সুচেতনা কোন ধরনের ধারণা?
উত্তর: কবির বিশ্বাসমতে, সুচেতনা দূরতম দ্বীপসদৃশ একটি ধারণা।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৪: যুদ্ধে, রক্তে কী নিঃশেষিত নয়?
উত্তর: সুচেতনা যুদ্ধে, রক্তে নিঃশেষিত নয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৫: জীবনানন্দ দাশ তাঁর চেতনানিহিত বিশ্বাসকে শিল্পিত করেছেন কোন শব্দের ব্যবহারে?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ তাঁর চেতনানিহিত বিশ্বাসকে শিল্পিত করেছেন ‘সুচেতনা’ শব্দের ব্যবহারে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৬: বর্তমান পৃথিবীর গভীরতর ব্যাধিকে অতিক্রম করা যাবে কীসের মাধ্যমে?
উত্তর: বর্তমান পৃথিবীর গভীরতর ব্যাধিকে অতিক্রম করা যাবে সুচেতনার মাধ্যমে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৭: জীবন্মুক্তির চেতনাগত সত্য কী প্রজ্বালিত করবে?
উত্তর: জীবন্মুক্তির চেতনাগত সত্য পৃথিবীর ক্রমমুক্তির আলোকে প্রজ্বালিত করবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৮: কী মানবসমাজের অগ্রযাত্রাকে নিশ্চিত করবে?
উত্তর: জীবনমুক্তির চেতনাগত সত্য অর্থাৎ সুচেতনা মানবসমাজের অগ্রযাত্রাকে নিশ্চিত করবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৬৯: কবির বিশ্বাসমতে, শাশ্বত রাত্রির বুকে কী প্রকাশিত হবে?
উত্তর: কবির বিশ্বাসমতে, শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয় প্রকাশিত হবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-৭০: কে শ্বাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয়কে প্রকাশ করবে?
উত্তর: সুচেতনা শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয়কে প্রকাশ করবে।

আরো দেখুনঃ সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর

এখানে জীবনানন্দ দাশ রচিত সুচেতনা কবিতার ৭০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন এবং এর উত্তর দেওয়া হলো। এখান থেকে চাইলে নিচে থেকে পিডিএফও ডাউনলোড করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button