সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কাকে বলে? এর সুবিধা অসুবিধা এবং ব্যবহার
এখানে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী, সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কাকে বলে, সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর সুবিধা অসুবিধা এবং ব্যবহার বিস্তারিত দেওয়া হলো।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন হলো তিন প্রকার সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন এর একটা। এর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত ডিভাইস গুলোর মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশন করা হয়। সিনক্রোনাস শব্দটি গঠিত হয়েছে গ্রিক শব্দ Syn (অর্থ- সাথে) এবং Chronous (অর্থ- সময়) এর সমন্বয়ে। এর অর্থ হলো সময়ের সাথে। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ডেটার শুরুতে একটি হেডার ইনফরমেশন ও শেষে একটি টেইলর ইনফরমেশন সিগন্যাল পাঠানো হয়।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কাকে বলে?
যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং ডেটার ক্যারেক্টার সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এতে প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২ টি ক্যারেক্টার থাকে।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর সুবিধা
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর সুবিধা গুলো হলোঃ
১। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে স্টার্ট ও স্টপ বিট না থাকায় এবং অনবরত চলতে থাকায় ট্রান্সমিশন গতি অনেক দ্রুত হয়।
২। এ পদ্ধতিতে তুলনামূলক কম সময় লাগে।
৩। প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরু ও শেষে স্টার্ট এবং স্টপ বিটের প্রয়োজন না হওয়ায় প্রতিটি ক্যারেক্টার এরপর ইন্টারভেলেরও প্রয়োজন হয় না। একেবারে অনেক তথ্য পাঠানো যায়।
৪। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর চেয়ে বেশি।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন অসুবিধা
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর অসুবিধা গুলো হলোঃ
১। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতিটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল।
২। এতে প্রেরক স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়।
৩। এর সার্কিট বেশ জটিল হয়।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর ব্যবহার
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর ব্যবহার গুলো হলোঃ
১। একস্থান থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে ডেটা স্থানান্তরে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়।
২। এক কম্পিউটার হতে একই সময়ে অনেকগুলো কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্রে এটি একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।
৩। কম্পিউটার হতে কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশনে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।